ভালোবাসা দিবসে ঘর জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া শাশুড়িকে তালাক দিলেন শশুর হালিম সিকদার। অপরদিকে মামলা হলেও আজও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ পৌছায়নি থানায়। এতে জেলা জুড়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজ স্ত্রীকে তালাক দেন বলে জানিয়েছেন শশুর হালিম সিকদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ গ্রামের হালিম সিকদারের বড় মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের বিয়ে হয় ৫ বছর আগে। বিয়ের পর জামাই সাইদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন। শশুর হালিম সিকদার কাজের তাগিদে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকার সুবাদে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জামাই সাইদুল ইসলাম।
পরবর্তীতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় শ্বশুর হালিম সিকদার তার ব্যক্তিগত কাজে বাবার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। ঢাকা থেকে এসে প্রতিবেশিদের কাছে জানতে পারেন তার স্ত্রী (শাশুড়ি) জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। মামলার বাদি শশুর হালিম সিকদার বলেন, বিয়ের পর জামাই সাইদুল আমাদের ঘরেই বসবাস করত। তাদের একটি ৮ মাসের শিশু কন্যা রয়েছে। আমি মাসে ২০-২৫ দিনের বেশি কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকতাম। এই সময়ে পরিবারের সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ায় জামাই সাইদুল এবং গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের কোন খোঁজ না পেয়ে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়েছি। আর মানুষের কথা থেকে বাঁচতে স্ত্রীকে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালাক দিয়েছি। আর ভালো লাগে না। বাদি পক্ষের আইনজীবি মো. বাবুল হোসেন বলেন, শশুর হালিম সিকদারের দায়ের করা মামলায় জামাই এবং শাশুড়ি পলাতক রয়েছে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের বিরূদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো আনোয়ার হোসেন বলেন, কোর্টে মামলা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তবে এখনও মামলার কোন কাগজ হাতে পাইনি। আদালতের আদেশ পেলে পরবর্তী আইনগতব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।